“থেকে যেতে পারতে! আরও একটা মাস – আরও একটা বছর –
যেমন ভাবে – পাখিদের গান শুনে শুনে – তিস্তার কোলে মাথা রেখে-
এই পাথরের স্তূপ গুলো রয়ে গেছে – কতকাল।
সবুজের ডানা মেলে – সন্ধ্যা নামার আগেই না হয় –
আমাদের – হয়ে যেতে। ”
“তোমাদের হতে গেলে – বুকে লাগে দম –
প্রাণে চাই স্ফূর্তি – রক্ত আরো লাল হওয়া চাই। ”
“বেশ – তবে তোমায় আরও রাঙিয়ে দেব –
কাল ঠিক সূর্য ওঠার আগে;
স্বপ্নের কড়িকাঠ গুলো পেরিয়ে –
ঘুম ভেঙে – এসে দাড়িও – এইখানে – এইভাবে। ”
“জানি না – সেই অন্ধকার ঠেলে আসা হবে কিনা।
ঘুম ভাঙার ঠিক আগে – যখন যন্ত্রনা গুলো খুব জাগ্রত হয়ে ওঠে –
মনে হয় মুহূর্তে মুহূর্তে স্খলন – আর কদাকার তছরুপ,
সর্পিল আগ্রাসন – আমাকে গ্রাস করে।
আমি তখনি ঠিক – আবার ঘুমিয়ে পড়ি।
মনে হয় এই প্রভাত – এই সূর্য – এই আলো – কিছুই চাই না –
অন্ধকার ঢের ভালো। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। ”
“বেশ – তবে তোমার সেই যন্ত্রণার ঠিক আগে –
তুমি দেখো – আমি এসে যাবো।
তোমার বাড়ীর উঠানে – যেখানে একরাশ শিশির এসে –
বরফ হয়ে গেছে –
আমি ঠিক এসে যাব।
কাল দেখো – তোমার ভোর গুলো সব তারা হয়ে যাবে –
পাহাড়ের গায়ে গায়ে; আর কান্না গুলো বরফ।
হেমন্তের মিষ্টি গন্ধ গুলো সাজিয়ে দেব তোমার বাগানে –
তোমাকে রাঙিয়ে দেব – অনেক – আমার নরম ভোরে। ”
থাক! এখন ওসব কথা থাক।
স্বপ্ন দেখতে বড় ভয় হয় – তাই কত দিন আমি স্বপ্ন দেখি না।
আচ্ছা বলতো – এখনো কি শিশিরের দানা খুঁটে খুঁটে সেই ভাবে ভোর নামে –
আর সেই স্তর স্তর জমে থাকা অভিমান গুলো –
এখনো কি লজ্জায় লাল হয়ে যায় ?
ভোর দেখতে বড়ো ভয় হয় – কতদিন আমি ভোর দেখি না।
ভোর!
আরও সুন্দর হয়েছে সে।
কাল দেখো তবে – রঙ্গীতের তীর ধরে –
আলতা ভেজা পায়ে দুরন্ত কিশোরীর মতো।
কাল দেখো তাকে।
আমি বলে দেব – মাথায় হলুদ রডোডেনড্রন –
আর – হাতে যেন থাকে মোহন বাঁশি।
তোমার স্তব্ধ চোখ দুটি – নীল – আরও গভীর নীল – ঘন করে –
রক্তিম আবদারে –
একসাথে যেন কবিতারা ঘর করে। আমি বলে দেব।
কাল দেখো তবে।
ট্রেনটা কখন যেন শ্বাপদের মতো চুপিসাড়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
সারা রাস্তা বয়ে আনা বোঝাটা পাশে সরিয়ে মন চায় –
আরও একটু স্পর্শ।
সেই আমি – আর – তুমি;
ঠিক হারিয়ে যাওয়ার আগে –
নতুন দিনের মতো।
তোলপাড় করে ওঠে আমার নিটোল বুনোট।
ফিস ফিস করে জানান দেয় – শ্বাপদটা –
সময় শেষ হওয়ার যন্ত্রনা।
ঠিক সেই সময় দেখি –
তুমি তখনও দরকষাকষিতে ব্যস্ত –
আরও দু চার পয়সার সস্তা সাশ্রয়।
এইভাবেই –
ধীরে ধীরে কুয়াশায় মধ্যবিত্ত প্রেম –
মধ্যবর্তী – হয়ে যায়।
শুধু ঝাপসা আলোয় হয়তোবা দু ফোঁটা জলের রেখা –
দু হাত শূন্যে তুলে গর্জে ওঠে –
অপূর্ণতা যদি কিছু থেকেও যায় –
তা কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো নয় -।
সবুজ প্রেমের বাস্প –
বৃষ্টির মতো – তোমার গায়ের রং –
স্বপ্নের মতো – নীল –
পেলব পাখনা।
অরন্ধন শেষ হলে পর – ঠান্ডা কিছু মহুল গন্ধের মতো –
সুর আসে -।
উজান শেষে – কাছিতে পড়ে সে টান –
কর্কশ শব্দে – ভাটির আর্তনাদ।
শেষ কিছু স্ফুলিঙ্গ আর্তনাদ করে ওঠে
এবার ফিরতে হবে – বোঝে মন –
সূর্য গোটায় রং।
গল্প লেখা বিকেলগুলো সব –
নেমে যায় – সন্ধ্যায় – কবিতায় !
গায়ে আমার বৃষ্টি ভেজা গন্ধ মাখা –
চোখে আমার কান্না চাপা বলি রেখা –
কে বলে যে – শুধুই আমি কাঁদতে জানি –
অঝোর ধারা বৃষ্টি মাঝে –
এই দেখো না –
কেমন আমি হাসতে জানি -!
কেমন আমার দুঃখ সুখের অঙ্ক গুলো
বৃষ্টি আবার নতুন করে নিকিয়ে নিলো
আমার সকল চাওয়া পাওয়ায় নৌকা গড়া –
পাল তুলে দি –
বান এসেছে – পালা তোরা -!
Announcements
আপনাদের আশীর্বাদে আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ অষ্টম বর্ষ অতিক্রম করলো। আমরা আমাদের এই site টি নতুন ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আপনাদের মতামত জানান আমাদের email এ (info@amarbanglakobita.com)। বিশদ জানতে contact us menu দেখুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আনন্দ সংবাদ! আমাদের এই site এ এবার থেকে গল্প, অনু গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস প্রকাশিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
Recent Comments