Category: Sraban

Artificially Intelligent (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট)

আজ আমি দেখতে শিখেছি।
AI দিয়ে।
– ohh sorry,
Artificial Inteligency দিয়ে।
যে ভাবে তোমাকে দেখা যেত না কোনো দিন –
dating aap এ star rating এর মতো।
আজ তোমাকে চিনতে শিখেছি।

 

তুমি কি খেতে ভালোবাসো,
কোথায় যেতে ভালোবাসো,
অথবা চুরি করে কবে কোথায় সিনেমা দেখেছো –
সব জানি আমি।

 

তোমার ভুঁড়ি তুমি লুকাতে পারো,
কিন্তু – blood sugar নয়।
তোমার চোখের তলায় রাত জাগা অভিসার –
তুমি লুকাতে পারো –
কিন্তু BP নয়।
আমি চলে যাওয়ার পর –
চোখের জলও হয়তো লুকিয়ে ফেলতে পারো –
কিন্তু credit card এর bill নয়।

 

আমারটা তো কবেই মরে গেছে,
শালুকবনে অথবা পাতায় পাতায়।
মৃত বুদ্ধিমত্তা অবলীলায় দিয়েছি বিসর্জন।
তাই এতো পলি জমে গঙ্গায়।
কে আর কবে অনর্থক পরিশ্রম করে?
যদি তোমারটায় বাঁচা যায় এই যাত্রায়!
তুমিও ধার করে নিও –
অন্য কোনো খাল বিল অথবা Channel থেকে।

 

তুমি তো বলেই খালাস।
বোকা বলেই না এতো বছর টিকে গেলে!
চালাক কি বললেই হওয়া যায়?
প্রয়োজনটাই বা কি?
বেশতো কেমন ফি বছর উৎসব চলে।
ফাঁপা কলসি থেকে ব্যারিটোন আওয়াজ।
বেশ কেমন বোদ্ধা বোদ্ধা ভাব।
ভালোই তো জমে নাটকটা!
তবে আবার জ্বালাও কেন?

 

কিছু উত্তর কথা যদি সমুদ্র পেরোতে পারে
তবে তো আমিও –
intelligent হবো,
Artificially Intelligent.

তবু, কলম চলে যায়

থাক না পড়ে – মাঠের পাড়ে
মিত্তিরদের বাগান ঘিরে –
একচিলতে রোদ।
খুঁজবে কেন ?
হারিয়ে যদি গিয়েই থাকে –
ঋণের বোঝা শোধ!

 

শুধু,
রইলো পড়ে বৃষ্টি ভেজা
বিকেল গুলো তার।
কবির খাতার অনেক ভাঁজে –
            নবীন সবুজ ভার;
শূন্য – রিক্ত মাঘ পৌষের
হিসাব মিলবে কিসে –
অঙ্ক গুলো সরল রেখায় ঘুমিয়ে পড়ে  শেষে।

 

তবু, কলম চলে যায় শব্দ থেকে শব্দবন্ধে;
মিল অমিলের ধোঁয়ায় উড়ে – গ্রন্থ থেকে গ্রন্থে ।।

উত্তর কথা (সুদীপ্ত মাইতি)

মাঝে মাঝে এমন হয়,
      সময় গড়িয়ে যায় –
      উত্তর দেবার।
মনের ভেতর গুনগুনিয়ে ওঠা
     সুর গুলো খুঁজতে থাকে
কথার দেশের ঠিকানা।
মেঘেরা ভাসতে ভাসতে একদিন
     ফুরায় অশ্রুকণায়।
  গোধূলির লাজুক রঙ লাগে
অভিমানী তারাদের চোখে।
রাত পাখিদের ডানায়
      ছড়িয়ে পড়ে –
গভীর রাতের নিয়ন আলো।

তখনও জেগে থাকে একটি হৃদয়
শিশির ঝরার প্রহর গুনে,
কখন লিখবে তার কবি –
       নিভৃত মনের শব্দ দুটি
       চাঁদের গায়ে গায়ে।

আবার হাজারটা বছর

অনেক পুড়েছি আমি – আহিরীটোলা বা শিবপুর,
শুধু যা আলিঙ্গনটুকুই বাকি।
হিসাব নেবার মতো যথেষ্ট বৃদ্ধ আমি –
যে হিসাবটুকু বাকি – মুক্তি দিক সে আমায়।

পুড়তে পুড়তে কত রং দেখেছি;
শুধু হলুদ স্বপ্নের মতো – পানীয় – আরো ঘন হয়ে এলে মস্তিষ্কে –
কি এক দুর্বোধ্য প্রেম জেগে ওঠে।
মনে হয় পাড়ি দিই আরো হাজারটা বছর।

মনে হয় পুড়িয়ে দিই – আমার – পোড়া এই যন্ত্রনা,
হঠাৎ কেমন যেন স্বপ্ন হয়ে যায় সব  –
আমি – তুমি – আর এই পোড়া যন্ত্রনা।
বিকালের হলুদ আলোয় –
ঘরে ফেরা পরিযায়ী পাখিদের ডানার রঙে  –
আবার বাঁচতে ইচ্ছে করে।
– আবার হাজারটা বছর।

আবারও আসিও ফিরে

আবারও আসিও ফিরে –
এই – ভোর কুয়াশার তীরে –
নরমে লাজুকে – শিশিরে নিশীথে –
কাটে নাকো নিশি – একলা ফিরিতে।
স্নিগ্ধ সবুজে, নুপুর’ পরশে
যুথিকা ডালিতে হিমেল দিবসে।

একা যেন ধাই – তোমা প্রাণে নাই –
আমাতে তোমাতে দোহারে মিলিতে
তপোবন’ মাঝে দেউড়ি খুলিতে –
শেষ বার যেন – মরমে পরশে –
শীতল উষ্ণতা তব – পুলকে হরষে।
অমা নিশি শেষে – সেই যেন পাই-
আর কিছু নাই – আর কেহ নাই –
বিদায় দেহ – এইবেলা যাই।

(ধন্যবাদান্তে – শ্রীযুক্ত সুদীপ্ত মাইতি )

                  (অমিতাভ)

Announcements

  • আপনাদের আশীর্বাদে আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ অষ্টম বর্ষ অতিক্রম করলো। আমরা আমাদের এই site টি নতুন ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আপনাদের মতামত জানান আমাদের email এ (info@amarbanglakobita.com)। বিশদ জানতে contact us menu দেখুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
  • আনন্দ সংবাদ! আমাদের এই site এ এবার থেকে গল্প, অনু গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস প্রকাশিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

Recent Comments

Editorial Choice