Category: Fulkumari

পান্তুদা – টা

পান্তুদা – টা
লড়তে জানে – চরতে জানে –
রাগ হলে তার –
কাউকে ধরে মারতে জানে –
কানটি টেনে মুলতে জানে।
.
.
.
.
.
.
.
.
হায় রে –
.
.
.
এভাবেও সে ভাবতে জানে।


                    (অমিতাভ বাগ)

(এই নামটি নিছক কৌতুকরস সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তথাপি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। চরিত্রটিও নিছক কাল্পনিক। দয়া করে, এর সাথে বাস্তবে কাউকে মেলাতে যাবেন না। )

বিশেষ দ্রষ্টব্য :
এই বিষয়ে উল্লেখ্য, এই কবিতাটির প্রথম পর্ব টি অবশ্যই পড়বেন নিচের লিংক টি থেকে।

পান্তুদা

 

পান্তুদা


আমাদের ও পাড়ার পান্তুদা, কে জানো ?
শলাকার কলেবর – হাতে গোঁফ প্যাঁচানো।
আষাঢ়ের মেঘে মেঘে তারা গোনা চাই তার,
বৃষ্টিতে হেঁচে কেশে – ঝালে ঝোলে কদাকার।

এ হেনো পান্তুদা – বসে যদি কাজেতে –
একমনে ঘেঁটে যায় টেকো চুল টিকিতে।
যোগ ভাগ গুন্ গুলো ধোঁয়া ওঠে দেখো ওই –
রাগে চোখ টন টন – পুড়ে খাক যত বই।
দাঁতগুলো তাগড়াই – হয়তোবা রাগেতে –
এঁকে বেঁকে চলে যায় – দু ঠোঁটের মাঝেতে।
কষ থেকে মাঝে মাঝে বয়ে যায় খুশবু –
বেনারসি পান চাই – নোলা হয় বেকাবু।

এ হেনো পান্তুদা – চাপে যদি বাসেতে –
গম্ভীর হয়ে যায় – দমফাটা হাসিতে।
গায়ে পড়ে কাতুকুতু খেয়েদেয়ে একাকার –
নেমেপড়ে হেঁটে যায় – হোক না সে রবিবার।

(অমিতাভ বাগ)

(এই নামটি নিছক কৌতুকরস সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তথাপি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। চরিত্রটিও নিছক কাল্পনিক। দয়া করে, এর সাথে বাস্তবে কাউকে মেলাতে যাবেন না। )

ফুলকুমারী (2)

ফুলকুমারী ফুলকুমারী
তোর সাথে আর নয়কো আড়ি।
জানিস না তুই –
রাগটি আমার শরীর জুড়ে
মান অভিমান আকাশ ফুঁড়ে।
খেলনাগুলো নিজের মনে
হারায় কেন অন্ধ কোনে ?।
স্নানের সময় জল নিয়ে তাই
ঘণ্টা খানেক খেলতে যে চাই
বারণ করলে যুদ্ধ বাধে –
গুণ্ডা কি আর এমনি সাজে ?

গোপাল বলিস, সোনা বলিস, লক্ষ্মী বলিস রাই –
মন যে আমার ভিজবে না রে – যখন যেটা চাই –
তখন যদি বারণ করিস, কাট্টি তবে –
ভাবছিস কি ? ভাবটি আবার এমনি হবে ?
গাড়ি চাই – বেলুন চাই – চাই যে কত কিছু
ঘুড়িও চাই । অনেক লিস্টি আছে পিছু পিছু।।
তবেই বলি দুষ্ট আমি – মিষ্টি নই যে –
ভুলবো আমি অল্পে-তে ?!
যতই ভোলাস্ – আকাশ কুসুম গল্পে-তে।।

ফুলকুমারী ফুলকুমারী

ফুলকুমারী ফুলকুমারী তোর সাথে আজ আমার আড়ি।
পলাশ ছাপা বনের মাঝে একলা একলা ঘুরিস ভারী ?
ফুলকুমারী ফুলকুমারী তোর সাথে আজ আমার আড়ি।

ফুলকুমারী ফুলকুমারী –
রাগ হয় না ভারী?
শিউলি রাঙ্গা পথের ‘পরে –
দেখিস সকাল কেমন ঝরে ?
দেখিস কেমন চাঁদের আলো-
জোছন গুলো মিশিয়ে দিল –

ফুলকুমারী ফুলকুমারী তোর সাথে আজ আমার আড়ি।

ফুলকুমারী ফুলকুমারী –
দেখিস কেমন খোঁপার সাজে –
আমায় বুঝি মানায় না যে।
দেখিস আবার মুকুট পরে
সই কি তোর মনে ধরে?
যাহ –
তোর সাথে আজ আমার আড়ি-
একা একা ঘুরিস ভারী –
ফুলকুমারী ফুলকুমারী।

বৃষ্টি ভেজা এলো চুলে
মিষ্টি হাওয়ায় আঁচল তুলে
মেঘের দেশে ডানা মেলে
হারিয়ে যাস তুই আমায় ফেলে।

কত কষ্ট বুকের মাঝে
পাখির সুরে অমন বাজে
দেখিস না তুই
বুঝিস না তুই
আড়ি তবে – যা – পালা –
খেলব’ না আর – ডাকিস মেলা –
আবার কবে আমায় ফেলে –
মায়ের কোলে যাবি চ’লে!
ফুলকুমারী ফুলকুমারী –
তোর সাথে আজ সত্যি আড়ি -||

Announcements

  • আপনাদের আশীর্বাদে আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ অষ্টম বর্ষ অতিক্রম করলো। আমরা আমাদের এই site টি নতুন ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আপনাদের মতামত জানান আমাদের email এ (info@amarbanglakobita.com)। বিশদ জানতে contact us menu দেখুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
  • আনন্দ সংবাদ! আমাদের এই site এ এবার থেকে গল্প, অনু গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস প্রকাশিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

Recent Comments

Editorial Choice