কখনো কোনদিন একলা উদাস সকালে
তাকে যদি নিজের করে ডাকো
যে নেই সেও আসে
ক্ষমার ঔদার্যে
নিস্তব্ধ আকাশের আশ্বাসে তাকিয়ে— অঝোরে কাঁদলে যে এসেও ধরা দেয় না
তার উদাস স্পর্শতে
যদি না জানা গহনের উত্তর পেতে চাও
যদি কোনও মন-কেমনের উদাস বিকেলের চোখের জলের কারণ জানতে চাও
যদি চোখ ভেজা সন্ধের ক্যানভাসের
শেষ গন্তব্য কেন সে – জানতে চাও
তবে কখন কোনদিন একলা উদাস সকালে
নিজের মনের নগ্ন নিস্তব্ধতাকে একটু কথা বলতে দাও।
স্মৃতি, তোর চুল ময়ূরাক্ষীর কাক কালো জল,
আমার খেয়া শুধু বারবার ডুবে ডুবে যায়,
আমি বারবার হেরে যাই নিজের কাছে,
আমি বারবার হেরে যাই সময়ের কাছে,
আমি বারবার হেরে যাই নিয়তির কাছে,
তবুও তুই প্রবহমান, স্রোতস্বিনী, তেজস্বিনী ।
স্মৃতি, তোর দুচোখ নিঃসীম নির্নিমেষ নক্ষত্রবীথি
আমার কবিতার খাতা ছিঁড়ে তৈরি হয় কাগজের
খেলনা এরোপ্লেন, হাওয়ায় হাওয়ায় উদ্দাম উড়ে,
সে এরোপ্লেন কখনো পায়না তোর ছায়াপথের দেখা,
একসময় ক্লান্ত হয়ে সে ঝড়ে পরে ভূমি শয্যায়,
তবুও তুই থেকে যাস নিঃসীম নির্নিমেষ নক্ষত্রবীথি।
স্মৃতি, তোর হৃদয় অনতিক্রম্য অনন্ত মহাকাল,
আমার হাহাকার নিঃশেষে মিশে যায় স্তব্ধ
সাগরের বুকে ঝরা এক ফোঁটা বৃষ্টির মতো,
আমার বুক থেকে উঠে আসা দীর্ঘশ্বাসের পথ
বেয়ে ধরণীতে নেমে আসে বাঁধভাঙা অশ্রু প্লাবন,
তবুও তুই থেকে যাস অনতিক্রম্য অনন্ত মহাকাল ।
দূর ঐ দূর প্রান্তে দাঁড়িয়ে তুমি
আমি এ প্রান্তে
হালকা হালকা মিশে যাচ্ছ' দূরে
তোমার আলতার পায়ের রেখা
এখনো হেঁটে চলছে
বন্ধ চোখে আমি তোমায় কাজল পড়িয়েছি
কোথায় যাচ্ছ চলে ?
বলে গেলে না !
ভিজিয়ে গেলে আমায়
একুশ বসন্ত কাটিয়েছ' আমার সাথে
একুশ বার তোমার গালে হলুদ রং— ঢেলেছি নিজের ক্যানভাস করে
এরকম ভাবে সব মুছে চলে যাচ্ছ' !
আমার অকৃতজ্ঞ হাত এখনো তোমার- মুখ ধরে আছে
একটু চেয়ে দেখ !
তোমার আচলে আমি বাঁধা
সেই গাঁটকে এইভাবে মিথ্যে বলছ?
আমার আত্মজীবনী লেখা রইল—
ঐ শেষ গাঁটে
ছিঁড়ে চলে গেলে তুমি
শুধু রইলো ঐ টুকরো
চোখে কাজল গায়ে বেনারসি পড়ে তুমি- এগিয়ে যাচ্ছ'
এক ফোঁটা জল ধার দিয়ে গেলে না
সবইত' নিয়ে গেলে ঐ গাঁটে
বসন্তকে কুয়াশা চড়িয়ে
দূর ঐ দূর প্রান্তে দাঁড়িয়ে তুমি
আমি এ প্রান্তে
Recent Comments