এইভাবে না দেখা বিপথের কোলাকুলিতে
আলোকবর্ষ দিয়েছে পথ
ওপাড়ের ভিনদেশীয়
স্তব্ধতার পাণ্ডিত্যে – আমার এপাড় ভেসে যায় ।
হলকা হাওয়ার আঁচড় পরম্পরায় বিঁধে পাদদেশ
লিকলিকে খনিজ উপাদানে বর্শার চোখ নিবদ্ধ হলে
শিউলির সোহাগ ভুলে পর্যাপ্ত প্রহর
গুনেছি অভিশাপ ।
তবুও এইসব অফুরান নিয়ে নিয়ত শুভেচ্ছায়
বসন্ত উসকেছি মধ্য শিখার নিশীথে
সেই যেথা কোনও এক প্রশস্তকাল
আমিই মুষল হতাম সমগ্র জ্যামিতিময় ।
আসলে আমারও ঘোড়া হওয়ার সাধ ছিল রেসের ময়দানে
ছিলনা শুধু জুয়া খেলার কঠোর অভিসন্ধি ।
[আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে –
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?। ]
না হয় আমি রাজাই হলাম
বিধান দিয়ে – নিদেন লিখে
আমার রানী গড়িয়ে নিলাম –
না হয় আমি রাজাই হলাম ৷৷
রানী হল – মন্ত্রী এলো হল রাজ্যপাট
রাজকোষ মোর শূন্য ভাঁড়ার
– ভাবাই হল ষাট ৷
সত্যি যদি রাজাই হবে
রাজকোষ কেন শূন্য রবে ?!
যেমন তেমন বিধান লিখে
হয় কি রাজ্যপাট ?!
এবার তবে –
চাবুক চালাও আগুন জ্বালো –
রাজকোষ মোর ভরিয়ে তোল' –
এসো সেপাই – সান্ত্রী এসো –
এসো সৈন্যদল –
দৈন্য দশা দূর কর মোর
হোক রদবদল ৷৷
রক্ত ?
তা সে পরওয়া করি না –
দমন দিয়ে – হয় যদি হোক
ভার অতিরিক্ত ।
তবু কেন এলোকেশে –
রানী আমার বিরস মুখে
ভাবনা যেন দিনে দিনে
পাংশু চোখে উঠছে জমে – ।
সেদিন যখন একলা রাতে –
ভেবে মরি খোলা ছাদে
হঠাৎ মনে পড়ল আমার
হারিয়ে যাওয়া ধুলো মাখা
আমায় দেওয়া ছোট্ট খাতা ।।
পরিপাটি যত্নে আঁকা –
অনেক কলি – হেলায় লেখা ।
আমার রানী –
তোমায় দিলাম রাজকোষ আর
অনেক বাণী ।
এবার তবে বিদায় দেহ –
রাজকোষ আর রাজ্য নিয়ে –
আমার রানী সুখে থেকো ।।
To listen please Click Me
Recent Comments